প্রত্যেক মানুষের জীবনের মূল ভিত্তি হলো খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান। খাদ্য দেহকে টিকিয়ে রাখে, বস্ত্র দেহকে আচ্ছাদিত করে, কিন্তু বাসস্থান শুধু দেহের আশ্রয় নয়; এটি মন, প্রাণ ও আত্মারও নিরাপদ স্থান।
আমি, প্রদ্যুৎ আচার্য, জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, বিশ্বাস করি মানুষ সারাজীবন পরিশ্রম করে ও অর্থ সঞ্চয় করে একটি স্বপ্ন পূরণ করতে চান—নিজস্ব একটি সুন্দর, শান্ত ও নিরাপদ বাড়ি নির্মাণ। যেখানে দিনের ক্লান্তি শেষে পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে সময় কাটানো যায়, যেখানে সূর্যের আলো সকালবেলা মন উজ্জ্বল করে আর রাতের আকাশের চাঁদ হৃদয়কে প্রশান্ত করে।
রানাঘাটের MyAstrology এর মূল পরামর্শ: “যে গৃহে প্রকৃতি ও মহাজাগতিক শক্তির সঙ্গতি রক্ষা হয়, সে গৃহেই সত্যিকারের শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।”
ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্রের দর্শন হলো—প্রকৃতির শক্তি, দিকনির্দেশ, আলো, বায়ুপ্রবাহ, চৌম্বক ক্ষেত্র ইত্যাদির সুষম সমন্বয়, যেখানে জ্যোতিষ শাস্ত্র হস্তরেখা ও বাস্তু বিজ্ঞান একত্রে মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ সাধনে সহায়ক হয়। এটি কুসংস্কার নয়, বরং হাজার বছরের প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণ।
তাই বৈদিক জ্যোতিষ ও ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী রানাঘাট থেকে কোলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র গৃহনির্মাণ কেবল স্থাপত্য নয়; এটি একযোগে বিজ্ঞান, শিল্প ও আধ্যাত্মিক সাধনা। প্রকৃতি আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক, আর বাস্তু শাস্ত্র সেই শিক্ষার নকশা ও দিকনির্দেশ।
“আপনার গৃহ হোক শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখের আধার” 🕉️
সংস্কৃত ভাষায় “বাস্তু” শব্দের অর্থ—যেখানে জীবজগৎ অবস্থান করে; “শাস্ত্র” অর্থ নিয়ম বা বিজ্ঞান। তাই বাস্তু শাস্ত্র হল এক প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যবিজ্ঞান যার মূল উদ্দেশ্য—দিক, স্থান, উপাদান ও প্রাকৃতিক শক্তির সুষম বিন্যাস করে মানবজীবনের শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। প্রাচীন ঋষিরা মনে করতেন—"यत् भूमिं च नाभिं च दिशं च विद्याम्" (ঋগ্বেদ) — যে ভূমি ও দিক জানে, সে সমৃদ্ধ হবে। 🌞🍃
প্রাচীন ঋষি-স্থপতিরা পৃথিবীকে এক জীবন্ত সত্তা—বস্তুপুরুষ বা বাস্তুপুরুষ—রূপে কল্পনা করেছেন যার প্রাণশক্তি ও শক্তি প্রবাহ রয়েছে। চার দিক, আকাশ ও পাতাল—এই পঞ্চপাত্রের ভারসাম্য রক্ষা করাই শাস্ত্রের মূল লক্ষ্য। প্রতিটি দিকের সঙ্গে নির্দিষ্ট দেবতা যুক্ত থাকে (যেমন পূর্বে ইন্দ্র, উত্তরে কুবের, দক্ষিণে যম, পশ্চিমে বরুণ), ফলে দিকনির্দেশ কেবল ভূগোল নয়, আধ্যাত্মিক অর্থও বহন করে। 🙏✨
🌿 প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে গৃহনির্মাণে বাস্তু শাস্ত্র সত্যিকারের শান্তি ও সমৃদ্ধির দিশারী 🌟
❤️ #বাস্তু_শাস্ত্র_জীবনের_আলোর_দিশা 🏡
দিক | বাস্তু শাস্ত্র | আধুনিক স্থাপত্য |
---|---|---|
দিকনির্দেশ | প্রাকৃতিক আলো, বায়ু ও দেবতার অবস্থান অনুযায়ী 🌞🍃🙏 | জমির আকৃতি, ফাংশন ও নান্দিক নান্দনিকতা অনুযায়ী 🏢🖥️ |
উপাদান | প্রাকৃতিক উপাদান — পাথর, মাটি, কাঠ 🪵🪨 | কংক্রিট, স্টিল, কাচ, আধুনিক কম্পোজিট 🏗️🔧 |
বৈজ্ঞানিক যুক্তি | সূর্য, বাতাস, চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য ☀️💨🧲 | আরাম, ফাংশনালিটি, প্রযুক্তি নির্ভর ⚙️💡 |
জীবনদর্শন | প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে বসবাস 🌳🌼 | প্রযুক্তি ও যান্ত্রিক সুবিধা নির্ভর 🖥️📱 |
আধুনিক স্থাপত্যে আরাম, প্রযুক্তি ও নান্দিক নকশা গুরুত্ব পেলেও যদি বাস্তুচর্চায় বাস্তু শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক উপাদানগুলো (প্রাকৃতিক আলো-বাতাস, তাপ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক দিক নির্দেশ) সংমিশ্রিত করা যায়, তবে স্থাপনার কার্যকারিতা ও বাসস্থানের জীবনমান—উভয়ই উন্নত হবে। 🌟🏠
❤️ #MyAstrology_রানাঘাট থেকে_বাস্তুর_আলো 🕉️✨
প্রাচীন ঋষি-মুনিরা বিশ্বাস করতেন, মানুষের গৃহ কেবল ইট-পাথরের গাঁথুনি নয় — এটি জীবনের শক্তিক্ষেত্র। সঠিকভাবে নির্মিত হলে গৃহে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য আসে। 🏠✨
ঋগ্বেদ: "शं नो भूमिः शं नो आपः शं नो वनस्पतिः।"
অর্থাৎ — “ভূমি আমাদের জন্য শুভ হোক, জল আমাদের জন্য শুভ হোক, বৃক্ষরাজি আমাদের জন্য শুভ হোক।” 🌏💧🌳
বাস্তু শাস্ত্র মানলে গৃহে শান্তি, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়
✨ "বাস্তু মানে প্রকৃতির সাথে সঙ্গতি, আর সঙ্গতি মানে সমৃদ্ধি" ✨
❤️ #MyAstrology_রানাঘাট থেকে_আপনার_বাস্তু_পরামর্শ 🕉️
প্রাচীন ময়মত বাস্তু শাস্ত্র ও বিশ্বকর্মা প্রকাশ গ্রন্থে বলা হয়েছে — "पूर्वेण वा उत्तरतः प्राप्तो मार्गः शुभदः सदा" অর্থাৎ — “যে গৃহের পূর্ব বা উত্তর দিকে রাস্তা থাকে, সেখানে সর্বদা শুভ ফল হয়।”
বাস্তু শাস্ত্রে রাস্তার অবস্থান জমির শক্তি প্রবাহ নির্ধারণ করে। সঠিক দিক নির্বাচন করলে প্রাকৃতিক আলো, বাতাস ও শক্তি ভারসাম্য বজায় থাকে।
জমির মুখ | রাস্তার অবস্থান | শাস্ত্রীয় ফলাফল | বৈজ্ঞানিক কারণ |
---|---|---|---|
পূর্বমুখী | পূর্ব পাশে রাস্তা | অত্যন্ত শুভ — স্বাস্থ্য, জ্ঞান, খ্যাতি বৃদ্ধি | সকালের সূর্যালোক ভিটামিন D উৎপাদন ও জীবাণুনাশক প্রভাব ফেলে |
উত্তরমুখী | উত্তর পাশে রাস্তা | শুভ — ধনলাভ, বাণিজ্য বৃদ্ধি | উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাস ও সুষম আলো ঘরকে ঠাণ্ডা রাখে |
পশ্চিমমুখী | পশ্চিম পাশে রাস্তা | মিশ্র ফল — কিছু অর্থলাভ, তবে স্বাস্থ্য সমস্যা | বিকেলের তীব্র সূর্যালোক ঘর গরম করে |
দক্ষিণমুখী | দক্ষিণ পাশে রাস্তা | অশুভ — রোগ, দুর্ঘটনা | গরম বাতাস ও ধূলিকণা প্রবাহ বেশি হয় |
পূর্বমুখী | উত্তর-পূর্ব কোণে রাস্তা | অত্যন্ত শুভ — আধ্যাত্মিক উন্নতি, সৌভাগ্য | ইশান কোণ আলো ও বাতাসের সর্বোত্তম প্রবেশপথ |
✨ "MyAstrology — প্রাচীন জ্ঞান, আধুনিক সমাধান" ✨
লেখক: প্রদ্যুৎ আচার্য – জ্যোতিষ ও হস্তরেখাবিদ্ | Authentic Astrology & Vastu Science
বাস্তু শাস্ত্রে বাস্তু নাগ হল জমির জীবন্ত সত্তা, যার শারীরিক অংশ মাথা, লেজ, পিঠ ও কোল হিসেবে চিহ্নিত। গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে এই চার অংশের অবস্থান বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বাস্তু নাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও সঠিক সম্মান প্রদর্শন করলে গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
শাস্ত্র মতে — "यत्र वक्षः, तत्र भवनं महाशुभम्"
অর্থাৎ, “যেখানে বাস্তু নাগের কোল, সেখানে গৃহনির্মাণে ঐশ্বর্য, শান্তি ও দীর্ঘস্থায়ী সুখ লাভ হয়।” 🕉️🙏
পৌরাণিক কাহিনী:
এক সময় বাস্তুপুরুষ বা বাস্তু নাগ দেবতা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নেমে এসে মানুষদের গৃহনির্মাণে সাহায্য করতেন। তিনি নিজের শরীর দিয়ে পৃথিবীর জমি ও দিক নির্ধারণ করতেন। তাই কোনো গৃহ নির্মাণের সময় তার মাথা বা লেজের অংশে নির্মাণ করলে তিনি রুষ্ট হতেন, যা বিভিন্ন কষ্ট ও বাধার কারণ হত। অন্যদিকে তার কোলের অংশে গৃহ নির্মাণ করলে তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন, গৃহে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য বজায় থাকত। এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে বাস্তু শাস্ত্রের নিয়মাবলী সৃষ্টি হয়েছে, যা আজও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক প্রমাণিত। 🐍🏠✨
“🌟 প্রকৃতির সুরক্ষা, বাস্তু নাগের আশীর্বাদে গৃহ হোক সুখী ও শান্তিপূর্ণ 🏡🙏”
❤️ #MyAstrology_Ranaghat থেকে_বাস্তু_নাগের_আলো 🐉✨
মাস (বাংলা) | মাথার দিক | লেজের দিক | কোলের দিক | পিঠের দিক | শুভ নির্মাণ দিক | দরজার মুখ |
---|---|---|---|---|---|---|
বৈশাখ | উত্তর-পূর্ব | দক্ষিণ-পশ্চিম | দক্ষিণ অংশ | উত্তর অংশ | ||
উত্তর অংশ | জমির দক্ষিণ অংশে পূর্বমুখী ঘর | উত্তরমুখী | ||||
জ্যৈষ্ঠ | পূর্ব | পশ্চিম | দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ | উত্তর-পূর্ব অংশ | জমির দক্ষিণ-পশ্চিমে উত্তর-পূর্ব খোলা | উত্তর-পূর্ব খোলা |
আষাঢ় | দক্ষিণ-পূর্ব | উত্তর-পশ্চিম | পশ্চিম অংশ | পূর্ব অংশ | জমির পশ্চিম অংশে পূর্বমুখী ঘর | পূর্বমুখী |
শ্রাবণ | দক্ষিণ | উত্তর | উত্তর-পূর্ব অংশ | দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ | উত্তর-পূর্বে দক্ষিণমুখী ঘর | দক্ষিণমুখী |
ভাদ্র | দক্ষিণ-পশ্চিম | উত্তর-পূর্ব | পূর্ব অংশ | পশ্চিম অংশ | পূর্বদিকে পশ্চিমমুখী ঘর | পশ্চিমমুখী |
আশ্বিন | পশ্চিম | পূর্ব | উত্তর-পশ্চিম অংশ | দক্ষিণ-পূর্ব অংশ | উত্তর-পশ্চিমে দক্ষিণমুখী ঘর | দক্ষিণমুখী |
কার্তিক | উত্তর-পশ্চিম | দক্ষিণ-পূর্ব | দক্ষিণ অংশ | উত্তর অংশ | দক্ষিণ অংশে উত্তরমুখী ঘর | উত্তরমুখী |
অগ্রহায়ণ | উত্তর | দক্ষিণ | দক্ষিণ-পূর্ব অংশ | উত্তর-পশ্চিম অংশ | দক্ষিণ-পূর্বে পশ্চিমমুখী ঘর | পশ্চিমমুখী |
পৌষ | উত্তর-পূর্ব | দক্ষিণ-পশ্চিম | পশ্চিম অংশ | পূর্ব অংশ | পশ্চিম অংশে পূর্বমুখী ঘর | পূর্বমুখী |
মাঘ | পূর্ব | পশ্চিম | উত্তর-পূর্ব অংশ | দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ | উত্তর-পূর্বে দক্ষিণমুখী ঘর | দক্ষিণমুখী |
ফাল্গুন | দক্ষিণ-পূর্ব | উত্তর-পশ্চিম | পূর্ব অংশ | পশ্চিম অংশ | পূর্ব অংশে পশ্চিমমুখী ঘর | পশ্চিমমুখী |
চৈত্র | দক্ষিণ | উত্তর | দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ | উত্তর-পূর্ব অংশ | দক্ষিণ-পশ্চিমে উত্তরমুখী ঘর | উত্তরমুখী |
যদি বৈশাখ মাসে ঘর করেন → বাস্তু নাগের মাথা উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছে, তাই সেই অংশে নির্মাণ করা অশুভ। কোল অংশ দক্ষিণ দিকে থাকার কারণে ঘর নির্মাণ হবে জমির দক্ষিণ অংশে এবং ঘরের প্রবেশদ্বার হবে উত্তরমুখী। এভাবে নির্মাণ করলে প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ সুষম থাকবে এবং শুভ শক্তি প্রবাহিত হবে। 🍃☀️ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ঘরের দরজা কোন দিকে নির্মাণ করা হবে। কারণ দরজা ঘরের প্রাণ, শক্তি প্রবাহের মূল প্রবেশপথ। ঘরের প্রবেশদ্বারের সঠিক দিক নির্ধারণে নিচের সারনি থেকে জানতে পারবেন কোন মাসে কোন দিক উত্তম। নির্ধারণ করুন ঘরের দরজার সঠিক দিক নিচের সারনি দেখে:🫒
✨ MyAstrology – প্রাচীন শাস্ত্রের জ্ঞানে গৃহে আনুন শান্তি ও সমৃদ্ধি ✨
Mayamata Vastu Shastra, Brihat Samhita ও Vishwakarma Prakash অনুসারে, বাস্তু পুরুষ মণ্ডলে ৩২ দেবতা বিরাজমান। বাড়ির প্রবেশদ্বার কোন দেবতার স্থানে পড়ছে, তার উপর ভিত্তি করে জীবনে আসে শুভ, অশুভ বা নিরপেক্ষ ফলাফল।
প্রবেশদ্বার শুধু বাড়ির বাহির থেকে ভিতরে প্রবেশের পথ নয়, এটি শুভ শক্তি ও মহাজাগতিক প্রবাহের প্রধান সংযোগস্থল। সঠিক দিক ও অবস্থানে প্রবেশদ্বার স্থাপন করলে স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি, মানসিক শান্তি ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। MyAstrology – Authentic astrology & Vastu Science অনুসারে দেবতার অবস্থান যাচাই করে গৃহনির্মাণ পরিকল্পনা করলে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
সূত্র: Mayamata Vastu Shastra, Brihat Samhita, Vishwakarma Prakash — সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও বৈজ্ঞানিক যুক্তির সঙ্গে।
পদ নং | দেবতার নাম (বাংলা / ইংরেজি) | অবস্থান (সামগ্রিক দিক/সেক্টর) | প্রবেশদ্বার থাকলে ফল (শাস্ত্রীয়) | সংক্ষিপ্ত বৈজ্ঞানিক যুক্তি |
---|---|---|---|---|
1 | শিখি / Shikhi | উত্তর-পূর্ব → পূর্ব (NE→E) | শুভ — সম্পদ ও সুখ বৃদ্ধি | সকালে উজ্জ্বল নরম আলো সরাসরি প্রবেশ করলে বাড়িতে জীবাণু কম ও মনোজাগরণ বাড়ে — আর্থিক/কর্মগত সক্রিয়তা বাড়তে পারে। |
2 | পার্জন্য / Parjanya | পূর্ব (E) | শুভ — বৃষ্টি ও ফসলের প্রাচুর্য | পূর্ব দিক থেকে শীতল হাওয়া ও আর্দ্রতা প্রবেশে কৃষি/জলসম্পদ চিহ্নিত হবে — স্থানীয় জলবায়ু সুবিধা কাজে লাগে। |
3 | জয়ন্ত / Jayanta | পূর্ব-মধ্য (E-centre) | অতি-শুভ — বিজয় ও সামাজিক সম্মান | সকালের আলোর প্রভাবে কর্ম-মনোবল ও নেতৃত্বগুণ বাড়ে; প্রকাশ্য আলোর মানসিক প্রভাবকে সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। |
4 | মহেন্দ্র / Mahendra (Indra) | পূর্ব-দক্ষিণ (E→SE) | অতি-শুভ — সম্মান, প্রভাব, ধনলাভ | উজ্জ্বল পজিটিভ অ্যাক্সেস (রোড/প্রবেশ) ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক/প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্ভাব্য সম্পর্ক বাড়ায়—সামাজিক দৃশ্যমানতা বাড়ে। |
5 | সূর্য / Surya | পূর্ব-দক্ষিণ (E→SE) কেন্দ্রভাগ | মিশ্র/সতর্ক — স্বাস্থ্য ও শক্তি (কিন্তু অতিরিক্ত হলে উত্তেজনা) | ভোরের সূর্য উপকারি; কিন্তু যদি বহির্মুখী সূর্যালোক অত্যধিক ঢোকে (বিকেলেও) তাপ বৃদ্ধি ও অস্বস্তি ঘটতে পারে। |
6 | সত্য / Satya | পূর্ব–উত্তর-মধ্য (NE-E) | শুভ — ন্যায়, সততা ও মানসিক স্থিতি | প্রাকৃতিক আলো এবং স্বচ্ছ বাতাস মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ায়—নৈতিক/সামাজিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। |
7 | ভৃশ / Bhrisha | দক্ষিণ-পূর্বে ঝুঁকি অংশ (E→SE) | মধ্যম/অশুভ — অস্থিরতা, ক্ষতি | অতিরিক্ত তাপ-প্রবাহ বা অনিয়ন্ত্রিত বায়ু প্রবেশ মানসিক উত্তেজনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়, ফলে নেগেটিভ আচরণ দেখা দিতে পারে। |
8 | অন্তরিক্ষ / Antariksha (আকাশ) | পূর্ব→দক্ষিণ শেষ অংশ (E→SE) | অশুভ — আর্থিক ক্ষতি, অস্থিরতা | খোলা/অস্থির বায়ুপ্রবাহ ও অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ পথ নিরাপত্তা সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে — আর্থিক/আইনি ঝুঁকি বাড়ে। |
9 | অগ্নি / Agni (অনিল) | দক্ষিণ-পূর্ব (SE) | সতর্ক / অশুভ হলে — অগ্নিবিপদ, স্বাস্থ্যঝুঁকি | রান্নাঘর বা উষ্ণতার উৎস যদি অঠিকভাবে রাস্তার মুখে পরে — তাপ ও ধোঁয়ার সমস্যা বাড়ে; অগ্নিতেও ঝুঁকি থাকে। |
10 | পুষা / Pushaa | দক্ষিণ-মধ্য (S→SE) | মধ্যম/শুভ — অর্থ ও কর্মে সমর্থন (পরিস্থিতি নির্ভর) | উষ্ণ পরিবেশে কাজ করলে উৎপাদনশীলতা বাড়তে পারে, তবে অতিরিক্ত তাপ হলে সমস্যা হয়—অতএব ভারসাম্য জরুরি। |
11 | বিতথ / Vitatha | দক্ষিণ-মধ্য ঝুঁকিপ্রবণ | অশুভ — প্রতারণা, অস্থিতিশীলতা | গৃহে উষ্ণতা ও অস্পষ্ট বায়ুপ্রবাহ অপরিকল্পিত কার্যকলাপকে উত্সাহিত করতে পারে — সামাজিক মানহানির ঝুঁকি। |
12 | গৃহক্ষতা / Grihakshata | দক্ষিণ-মধ্য (S) | অশুভ — পারিবারিক কলহ, গোপনীয়তা লঙ্ঘন | প্রবেশপথের কারণে ব্যক্তিগত এলাকা প্রকাশ্যে হলে গোপনীয়তা-সংক্রান্ত সমস্যা ও মানসিক চাপ বাড়ে। |
13 | যম / Yama | দক্ষিণ (S→S-centre) | অতি-অশুভ — রোগ, গুরুতর ক্ষতি | দক্ষিণ দিকের অতিরিক্ত তাপ ও নেতিবাচক শক্তি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে; ছায়া ও বাতাস অপর্যাপ্ত হলে সমস্যা জটিল। |
14 | গন্ধর্ব / Gandharva | দক্ষিণ-পশ্চিম→দক্ষিণ (SW→S) | মধ্যম/শুভ — শিল্প, সঙ্গীত, সাফল্য (সন্ধিক্ষণে) | উষ্ণ—but সৃজনশীল কার্যকলাপ ও সামাজিক মেলামেশা বাড়লে মানসিক সমৃদ্ধি দেখা যায়। |
15 | ভৃঙ্গরাজ / Bhringaraja | দক্ষিণ-পশ্চিম (SW) | শুভ — সুখ, সামাজিক মেলামেশা | স্থির দক্ষিণ-পশ্চিমে সুরক্ষিত পরিবেশ থাকলে পরিবারিক সান্নিধ্য ও আধ্যাত্মিক স্থিতি বাড়ে। |
16 | মৃগ / Mriga | দক্ষিণ→দক্ষিণ-পশ্চিম (S→SW) | অশুভ/মধ্যম — অর্থ ক্ষতি, অনিরাপত্তা | রাস্তামুখী হলে চলাচেরা ও অস্থিরতা বাড়ায়; নিরাপত্তা-ঝুঁকি ও সন্তানসংক্রান্ত উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। |
17 | পিতৃ / Pitra | পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম (W→SW) | অশুভ — পিতৃসম্পর্কে সমস্যা, অস্থিরতা | বিকেলের তীব্র সূর্যালোক ও ধুলো প্রবেশ করলে আর্থিক চাপ ও পারিবারিক মানসিক ভীতি বাড়ে। |
18 | দৌবারিক / Dauvaarik | পশ্চিম (W) | শুভ — পরিবারের কর্তার সম্মান, স্থায়িত্ব | পশ্চিমের নিয়ন্ত্রিত আলো-আর্দ্রতা ভালো সামাজিক যোগাযোগ ও কার্যনিষ্ঠাকে উৎসাহিত করে। |
19 | সুগ্রীব / Sugriva | পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম (W→NW) | অতি-শুভ — সাহস ও ব্যবসায় উন্নতি | বিকেলের আলো ব্যবসায়িক স্থানটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে; পরিচ্ছন্ন বাতাস যোগাযোগ বাড়ায়। |
20 | পুষ্পদন্ত / Pushpadant | পশ্চিম-মধ্য (W-centre) | অতি-শুভ — আর্থিক স্থিতিশীলতা, পরিবারের সুখ | স্থিতিশীল বিকেলবাতাস ও আলো সঞ্চয় ও আর্থিক কার্যকলাপকে সুবিধা দেয়। |
21 | বরুণ / Varuna | পশ্চিম-উত্তর (W→NW) | শুভ — জলসম্পদ, সামাজিক মর্যাদা | উত্তর-পশ্চিম হাওয়া ও সুষম আর্দ্রতা জল-সম্পদের সদ্ব্যবহারকে সহায়তা করে। |
22 | অসুর / Asur | পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম (WNW) | অশুভ — শত্রুতা, আইনি ঝামেলা | অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাতাস/আলো নিরাপত্তা ও সামাজিক উত্তেজনা বাড়ায়, আইনি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। |
23 | শোশ / Shosh | উত্তর-পশ্চিম (NW) | অশুভ — শুষ্কতা, দুর্বলতা | নির্দিষ্ট দিক থেকে শুষ্ক বাতাস ও কম আর্দ্রতা স্বাস্থ্য ও উদ্যমে প্রভাব ফেলতে পারে। |
24 | পাপযক্ষ্মা / Paapyakshma | উত্তর-পশ্চিম → উত্তর (NW→N) | অশুভ — গুরুতর অসুখ, আইনি ও নৈতিক ঝুঁকি | উত্তর-পশ্চিমের অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ পথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। |
25 | রোগ / Roga | উত্তর (N) | অশুভ — রোগব্যাধি, দুর্বলতা | উত্তর দিক ঠান্ডা ও আর্দ্র হলে ব্যাকটেরিয়া/ফাঙ্গাস বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ে; সুরক্ষায় অবহেলা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। |
26 | নাগ / Naag | উত্তর-উত্তর-পূর্ব (N→NE) | অশুভ — উদ্বেগ, শত্রুতা | অন্তর্গত শক্তির অস্থিরতা ও অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়ায়। |
27 | মুখ্য / Mukhya | উত্তর-মধ্য (N-centre) | অতি-শুভ — নেতৃত্ব, সাফল্য, ধনলাভ | উত্তরের স্থিতিশীল শীতল বাতাস ও সুষম আলো বিকাশ ও আর্থিক স্থিতি বাড়াতে সহায়ক। |
28 | ভল্লাট / Bhallat | উত্তর-উত্তর-পশ্চিম (N→NW) | অতি-শুভ — ব্যবসায়িক সাফল্য, ঐশ্বর্য | উত্তর-দিকের সুষম তাপমাত্রা ও হাওয়া ব্যবসা-কার্যে স্থিতিশীলতা আনে। |
29 | সোম / Soma | উত্তর-পূর্ব (NE) | শুভ — শান্তি, আধ্যাত্মিক উন্নতি, স্বাস্থ্য | ইশান কোণ থেকে আসা নরম আলো ও ঠান্ডা বাতাস ধ্যান ও শারীরিক সুস্থতার জন্য উপযোগী। |
30 | সার্প / Sarp (Bhujang) | উত্তর-পূর্বের প্রান্ত (NE-edge) | অশুভ — কুঁজতা, শত্রুতা, স্বাস্থ্যসমস্যা | ইহ প্রান্তে অনিয়ন্ত্রিত আর্দ্রতা ও ছায়া সমস্যার জন্য সুরক্ষা ও নিকটতা বিবেচ্য। |
31 | অদিতি / Aditi | উত্তর-উত্তর-পূর্ব (N→NE) | শুভ — প্রাচুর্য, সন্তানের সুখ | উত্তর-উত্তর-পূর্বের খোলা প্রবেশ পথ জলের সুষমতা ও আলো প্রদান করে, পরিবারের কল্যাণে সহায়ক। |
32 | দিতি / Diti | উত্তর (N) শেষাংশ | অশুভ — বিবাদ, অভাব | উত্তরের নির্দিষ্ট কনফিগারেশনে আলো-আর্দ্রতার অভাব মানসিক অস্থিরতা ও আর্থিক সংকট ডেকে আনতে পারে। |
“MyAstrology – যেখানে প্রাচীন জ্ঞান মেলে আধুনিক জীবনের সাথে”
(রেফারেন্স: ময়মত বাস্তু শাস্ত্র, বৃহৎ সংহিতা, বিশ্বকর্মা প্রকাশ)
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী ঘরের নকশা শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং আলো, বাতাস, তাপমাত্রা ও প্রাকৃতিক শক্তির সঠিক ব্যবহার করার বিজ্ঞান। এখানে প্রতিটি কক্ষের সঠিক দিকনির্দেশ, শাস্ত্রীয় কারণ ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।
পূর্ণ রঙিন বাস্তু মণ্ডলসহ ফ্লোরপ্ল্যান — প্রতিটি রুমের অবস্থান আলাদা রঙে, উত্তর দিক উপরে দেখানো।
✨ “প্রকৃতি ও বাস্তু মিলেই তৈরি হয় সুখী গৃহ” ✨
বাস্তু শাস্ত্র এককভাবে একটি স্থাপত্য বিজ্ঞান নয়; এটি প্রকৃতির মহাজাগতিক শক্তি ও মানবজীবনের আধ্যাত্মিক সম্পর্কের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। প্রাচীন ভারতীয় দর্শন মতে, প্রতিটি স্থান ও দিক একটি জীবন্ত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু, যা আমাদের দেহ ও চেতনার সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনা করে।
“वासुदैव कुटुम्बकम्” — সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডই এক পরিবার; বাস্তু শাস্ত্র এই চিন্তা থেকে উদ্ভূত, যেখানে প্রকৃতির পঞ্চ মহাতত্ত্বের (পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ) সুষম সমন্বয়ে আমাদের আবাস তৈরি হয়। প্রতিটি স্থানের সৌন্দর্য ও সুরক্ষা আমাদের অন্তরকে শান্তি দেয়, মনকে স্থিতি দেয় এবং আত্মাকে প্রফুল্ল করে তোলে।
জ্যোতিষশাস্ত্রের সূক্ষ্ম জ্ঞানে দেখা যায় যে, সময়, স্থান ও দিকের মহাজাগতিক গতি বাস্তু শাস্ত্রের মাধ্যমে মানব জীবনের গুণগত মান উন্নত করে। গৃহ যখন প্রকৃতি ও মহাজাগতিক শক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে নির্মিত হয়, তখন তা কেবল কাঠামো নয়, বরং এক পবিত্র মন্দির যেখানে আত্মার শুদ্ধি ও বিকাশ ঘটে।
তাই বাস্তু শাস্ত্রের নীতিমালা শুধু কুসংস্কার নয়; এটি বহু শতাব্দীর জ্ঞান, পর্যবেক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মেলবন্ধন। রোগমুক্ত দেহ, শান্তিময় মন এবং সমৃদ্ধ জীবন অর্জনে বাস্তু শাস্ত্রের গুরুত্ব অতুলনীয়। এটি আমাদের আত্মিক ও শারীরিক সুস্থতার এক প্রকৃতির দীক্ষা।
বাস্তু শাস্ত্র মানুষের জীবনকে শুধুমাত্র আরামদায়ক ঘর দেয় না, বরং একটি আধ্যাত্মিক অভয়ারণ্য গড়ে তোলে যেখানে প্রকৃতি ও মানব আত্মার মধ্যে নিবিড় সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রকৃতির সর্বোচ্চ শক্তিকে সম্মান করে, যথাযথ দিকনির্দেশনা ও স্থান নির্বাচন আমাদের জীবনে সত্যিকার শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে। MyAstrology এর আস্থায়, এই প্রাচীন বিজ্ঞান আজও আধুনিক জীবনের জন্য অপরিহার্য দিকনির্দেশনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
✨ বাস্তু শাস্ত্র – যেখানে বিজ্ঞান, শিল্প ও আধ্যাত্মিকতা মিলে জীবন হয়ে ওঠে পূর্ণাঙ্গ ও সুন্দর ✨